কলকাতা: যে জল খাচ্ছেন, তা কতটা নিরাপদ? এখানেই চরম আশঙ্কার মুখে কলকাতা। তবে কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে দিয়েছে গঙ্গা। এক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাবেসী সংস্থার গবেষণায় উঠে এল এই তথ্য। আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল ও ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করে সুলভ ইন্টারন্যাশনাল। এই সংস্থার আয়োজনে এক আলোাচনায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
কলকাতার পাশ্ববর্তী তিনটি জেলা আর্সেনিক। দুই চব্বিশ পরগণা সহ আরও একটি জেলায় আর্সেনিকের উপস্থিতি কলকাতার কাছেও বড় বিপদ। গবেষক জানাচ্ছেন, মাটিতে দ্রুত মিশে যায় বলে আর্সেনিক তাড়াতাড়ি ছড়িয়েও পড়তে পারে। জলাভূমি থেকে মাটি তোলার প্রবণতাতেও হিতে বীপরিত হয়েছে। কলকাতায় আর্সেনিক ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মন্ত্রীও। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, কলকাতা হয়তো আর্সেনিক থেকে পুরোপুরি নিরাপদে নেই। আগেও যাদবপুরে পানীয় জলে আর্সেনিকের উপস্থিতি মিলেছিল।
গবেষকদের দাবি, কলকাতার হাই-রিক্স জোনগুলিও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তবে এখনই সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চাননা তাঁরা। গঙ্গার জলে আর্সেনিক থাকার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু শহরে বিশেষত অ্যাডেড এরিয়ায় ভূ-গর্ভস্থ জল খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। যা আর্সেনিকের ক্ষেত্রে বিপদজ্জনক বলেই আশঙ্কা গবেষকদের।
কীভাবে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল নিশ্চিত করা সম্ভব, তাও উঠে আসে আলোচনায়। এক্ষেত্রে সফল মডেল তৈরি করে দেখিয়েছে গাইঘাটার কাছে মধূসুদনঘাটার একটি সমবায় সমিতি। পুকুর লিজ নিয়ে নামমাত্র দামে আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ করছে তাঁরা। রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় নামমাত্র দামে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করার কাজ চালাচ্ছে সুলভ ইন্টারন্যাশনাল। ৫০ পয়সারও কম দামে পরিশুদ্ধ জল পাওয়া সম্ভব বলে দাবি সংস্থার প্রধান বিন্ধেশ্বর পাঠক।